
প্রকাশিত: Thu, Jul 13, 2023 11:05 PM আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 8:11 PM
[১]বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা, জাতীয় ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠা ও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ঘোষণা [২]পর পর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না
শাহানুজ্জামান টিটু: [৩] সমমনা ৩৬ দলের সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এই রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রূপরেখা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। [৪] রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার উল্লেখযোগ্য হলো: সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রেইনবো নেশান প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন।
[৫] এরপর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচারবিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমন্বয় করা, উচ্চ-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ সংশোধন করা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংস্কার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা এবং সকল প্রতিষ্ঠান আইনি সংস্কারের মাধ্যমে পুনর্গঠন করা
[৫] রূপরেখায় বলা হয়েছে, সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, অধঃস্তন আদালতগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের কর্তৃত্ব সুপ্রিম কোর্টের নিকট ন্যস্ত হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পৃথক সচিবালয় থাকবে। প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রশাসন সংস্কার ও পুনর্গঠন করা হবে।
[৬] সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী এবং বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য মিডিয়া ব্যক্তিদের সমন্বয়ে লক্ষ্যে একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করা হবে। মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে। সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে। দেড় দশকব্যাপী সংগঠিত অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। শ্বেতপত্রে চিহ্নিত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৭] দুদকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ন্যায়পাল নিয়োগ, সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অমানবিক নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।
[৮] পাটকল, বস্ত্রকল, চিনিকলসহ সকল বন্ধ শিল্প পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল, জনস্বার্থবিরোধী কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হইতে বিদ্যুৎ ক্রয়ে চলমান সীমাহীন দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। শিল্পখাতের বিকাশে বিনিয়োগ বান্ধব নীতি গ্রহণ করে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা হবে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগে উৎসাহ, সুযোগ ও প্রণোদনা দেওয়া, বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত, যুগোপযোগী এবং সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করিয়া গড়ে তোলা, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্য কোনো জনপ্রতিনিধির খবরদারী মুক্ত স্বাধীন স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করা, আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশবলে সাসপেন্ড/বরখাস্ত/অপসারণ করা হবে না, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যার যার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা, আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন।
[৯] রূপরেখায় আরো রয়েছে, এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হইবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান, সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সঠিক তালিকা প্রস্তুত, নারীর ক্ষমতায়নে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী গ্রহণ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর উদ্যোগ, ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদে নির্বাচনের ব্যবস্থা। [১০] এতে বলা হয়েছে যোগ্য, দক্ষ ও মানবিক জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ করা হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন ও সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালু এবং জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং পর্যায়ক্রমে সকল ইউনিয়নে কৃষিপণ্যের জন্য সরকারি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন, ভর্তুকি দিয়া হইলেও শস্য বীমা, পশু বীমা, মৎস্য বীমা এবং পোল্ট্রি বীমা চালু করা। সড়ক, রেল ও নৌপথের প্রয়োজনীয় সংস্কার। দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠির আবাসন নিশ্চিত করা হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
